আমাদের দেশের ইতিহাস ঘাঁটলেই এমন অনেক নারীর খোঁজ আমরা পাবো যাঁরা একসময় হয়ে উঠেছিলেন এই দেশের খাস গুপ্তচর। ভারতের মহিলা গুপ্তচর! এই বইটি তাঁদের মধ্যেই পাঁচ নারীর গল্প বলে গেছে। তাঁদের সম্পর্কে যতোটা সম্ভব সত্যিকারের তথ্য দিয়েই গল্পের আকারে খানিকটা কল্পনার রঙ মিশিয়ে প্রস্তুত করা হয়েছে গল্পগুলো। যাতে পাঠকের কাছে তা সুখপাঠ্য হয়।
যে সময়ে তাঁরা গুপ্তচর হয়ে সাংঘাতিক পরিস্থিতিতে বিপদের মোকাবিলা করেছেন। সেই সময়ের মহিলারা এইসকল কিছু কল্পনাও করতে পারতেন না। তাঁদের জীবন থাকতো গৃহবন্দী। সেই সময়ের ধারনাই ছিলো মেয়েদের কাজ শুধুই সংসার সামলানো আর সকলের সেবা করা। অথচ এই পাঁচজন মহিলা সেই সকল ধ্যানধারণাকে একেবারেই ভুল প্রমাণিত করে দেখিয়ে দিয়েছেন চাইলে মেয়েরাও হয়ে উঠতে পারে দেশের এক গুপ্ত সৈনিক। যে শত্রুর মাঝে থেকেই তাদের কাছ থেকে অনায়াসে আদায় করে আনবে তথ্য। লুকিয়ে অস্ত্র এক স্থান থেকে অন্য স্থানেও নিয়ে যেতে পারে দেশের স্বার্থে। শুধু তাই নয়। প্রয়োজনে অস্ত্র হাতে তুলে নেমে যুদ্ধক্ষেত্রে যুদ্ধও করতে পারে। অথচ এনাদেরও পরিবার ছিলো। ছিলো পুতুল খেলার সংসার। কিন্তু একজন দেশবাসী হয়ে তাঁরা বেছে নিলেন এই আগুনঝরা পথ। হয়ে উঠলেন সেযুগের অগ্নিকন্যা!
এই বইএর প্রতিটি চরিত্রই নিজেদের মতো করেই উজ্জ্বল। নিজেদের মতোই অনন্য। তবুও কোথাও গিয়ে তাঁরা সকলেই এক সুতোয় বাঁধা পড়েছিলেন। নিজ দেশ নিজ রাষ্ট্রের প্রতি প্রেম। অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর ইচ্ছাশক্তি।
তাঁদের কথা, তাঁদের জীবনের গল্প বলতে, তাঁদের সাহসিকতার গল্প ইতিহাস বইএর পাতায় স্থান পায়নি এক লাইনেও। অথচ তাঁদের জীবন নিয়ে লিখলে সৃষ্টি হয় রোমহর্ষক এক একটা উপন্যাস। তাঁরা স্বমহিমায় আছেন এই বইটির পাতায় পাতায় নিজেদের গল্পকে সাজিয়ে নিয়ে।
পড়ুন “খোয়াই পাবলিশিং হাউসের” বই, অমৃতা কোনারের কলমে, “ভারতের মহিলা গুপ্তচর”।
Reviews
There are no reviews yet.